
Biochemistry Study Guideline
বায়োকেমিস্ট্রিকে চাইলে অনেক কঠিন ভাবে শেখা যায়, চাইলে অনেক সহজ..
11 articles
বায়োকেমিস্ট্রিকে চাইলে অনেক কঠিন ভাবে শেখা যায়, চাইলে অনেক সহজ..
যখন আমি এনাটমির ছাত্র ছিলাম, তখন সবচে বিরক্ত লাগত বোধয় হিস্টোলজি। মাইক্রোস্কোপের নিচে কোন টিস্যু দেখতে কেমন সেটা জানার সাথে ডাক্তারির সম্পর্ক কই? আরেকটু বড় হবার পর প্যাথলজি পড়ে জানলাম, নরমাল অবস্থায় কোন টিস্যু মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখতে কেমন না জানলে বিভিন্ন রোগ (বিশেষ করে টিউমার) হলে কোনটা কেমন পরিবর্তন হয়, বা পরিবর্তন হলে সমস্যা কই সেটা বুঝবোনা। বেশ ভাল। কিন্তু তখনো মনে খুঁতখুঁত লাগত, এই জিনিসের রিপোর্ট করবে প্যাথলজিস্ট, আমার জেনে লাভটা কই, আমার তো রিপোর্ট পড়তে পারলেই হয়! আর হিস্টোলজি জানা যদি প্যাথলজি বোঝার জন্য জরুরি হয়ে থাকে, তাহলে হিস্টোলজির নিজের ভ্যালুটা কোথায় ডাক্তারি করার ক্ষেত্রে? আজকের লেখাটা সেই প্রশ্নের একটা উত্তর দেয়ার প্রচেষ্টা, যে উত্তরটা আমি সেসময় পেলে হয়ত হিস্টো পড়াটা এতটা dull হতনা। চলুন, শুরু করি তাহলে।
এনজাইম জিনিসটাকে বইয়ের কাঠখোট্টা ভাষায় বাংলা করা হয়েছে অনুঘটক। আভিধানিকভাবে শব্দটার অনু- প্রিফিক্স কী মিন করছে জানিনা, তবে মোটামুটি ধরে নেয়া যায় এটা বোঝায় "বিক্রিয়া *ঘটানোতে* *সাহায্য* করে যে জিনিস"। আক্ষরিক অর্থে ঠিক আছে, তবে শব্দটা ঠিক এনজাইমের পাওয়ারকে ক্যাপচার করেনা। আমি এনজাইমকে আদর করে ডাকি "বায়োলজির অঘটনঘটনপটিয়সী"। ঘটার মত ঘটনা না, এমন ঘটনা ঘটানোটাই তার নিত্যদিনের খেলা। প্রশ্ন হল, এনজাইমরা কীভাবে বায়োকেমিক্যাল অঘটন ঘটায়?
ফিজিওলজির সিলেবাস এনাটমির মত বিশাল না হলেও এর গুরুত্ব কম বলার সুযোগ নাই। এনাটমিতে যেখানে আমরা একটা সুস্থ মানবদেহের Structure নিয়ে পড়ে থাকি, ফিজিওলজিতে সেখানে আমাদের পড়ার লক্ষ্যবস্তু একটা সুস্থ মানবদেহ কিভাবে কাজ করে- মানে Function এবং তার mechanism. সুস্থ মানবদেহ কিভাবে কাজ করে, এটা বোঝা একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা..
HSC এর পড়াশোনা শেষ করে Anatomy এর মতো এত বড় সাব্জেক্ট পড়তে আসাকে তুলনা করা যায় অনেকটা একটা পুকুরে সাঁতার শেখার পর নদীতে নেমে পড়ার মতো। এখানকার স্রোতকে মোকাবেলা করে টিকে থাকার জন্য শুরু থেকেই একটি গাইডলাইন ধরে নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনার বিকল্প নাই। তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে Anatomy পড়া যেতে পারে..
.
If u sleep, u die
Mr. P নামক একজন মধ্যবয়েসী ভদ্রলোক আপনার কাছে আসলেন ২ মাস ধরে দূর্বলতা আর "হঠাৎ হঠাৎ সকালবেলা কালচে প্রস্রাব" হওয়ার সমস্যা নিয়ে। আগের কিস্তিতে আমরা দেখেছিলাম, Mr. P যে রোগটায় ভুগছেন সেটা Paroxysmal nocturnal haemoglobinuria. আমরা এই PNHএর নাটবল্টুও বুঝেছি। আজ আমরা দেখব জনাব P কে সুস্থ ফিল করানোর জন্য আমরা কী করতে পারি।
Mr. P নামক এক মধ্যবয়েসী ভদ্রলোক আপনার কাছে আসলেন ২ মাস ধরে দূর্বলতা আর "হঠাৎ হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠলে কালচে প্রস্রাব" - এই দুই সমস্যা নিয়ে। লোকটার কী রোগ থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত হবেন কীভাবে, আর কেনই বা হয় এই রোগ?
Pathologyতে অনেকের কাছে একটা বড় আতঙ্ক হল কিম্ভূতকিমাকার নামবিশিষ্ট আজগুবি সব cell কোনটা কোন রোগে পাওয়া যায় - সেটা মাথায় রাখা। কাজটা একেবারে জলবৎ তরলং করা সম্ভব না - তবে বুঝে পড়লে জিনিসটা অনেকাংশেই সহজ হয়। সেই টার্গেট থেকে আজ আমরা নামব target cells বুঝতে।
DNA আর RNA দুইটার মধ্যে মূল পার্থক্যগুলার একটা হল DNA মূলত double stranded, RNA মূলত single stranded. এছাড়া DNA কোষের long term genetic information carrier হিসাবে কাজ করে, যেখানে RNA সেই মূল blueprint এর থেকে প্রয়োজনীয় অংশের সাময়িক ব্যবহার্য ফটোকপি৷ দুইজনের কাঁচামাল almost পুরাটাই সেম হওয়া সত্ত্বেও, এত বড় বড় দুইটা পার্থক্য কেন আসে?!