Academic Article

Anatomy guidelines

Time Management : General Anatomy, Embryology & Histology

SAVE_20230623_200133.jpg

Time Management : General Anatomy, Embryology & Histology

মেডিকেলের ফার্স্ট ইয়ার এবং সেকেন্ড ইয়ারে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তাদের তিনটা টার্মে  General Anatomy, Embryology এবং Histology – এই তিনটা বিষয়ে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়। প্রতি ৪-৫ মাস পর যখন টার্ম আসে, তারা লক্ষ্য করে যে, টার্মে Anatomy তে Written এ অর্ধেক প্রশ্ন আসে Part A তে General Anatomy, Histology এবং Embryology থেকে, সাথে Clinical scenario থেকেও আবশ্যিক উত্তর করতে হয়। আবার Viva তেও আলাদা করে এই তিনটা বিষয়ের জন্য Card এ question লেখা থাকে।


কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তিনটা বিষয়ের সিলেবাসটুকু আগে থেকে পড়া থাকে না। তাই টার্মের ঠিক আগ মুহূর্তে এসে অনেক বেশি নতুন পড়ার লোড একবারে এসে জমা হয়। তখন কোনোরকমে গাইড খুলে বুঝে কিংবা না বুঝে (বেশিরভাগ সময়ে না বুঝে) মুখস্ত করে পরীক্ষায় বসে। এ অবস্থায় রিটেন বা ভাইভায় একটু ঘুরায়ে প্রশ্ন করলে আঁটকে যেতে হয়।

তবে একটু চেষ্টা ও পরিশ্রম করলে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। এই আর্টিকেলে আজ আমি সেই উপায় নিয়েই আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ।


প্রথমে বলি, কেন এত স্টুডেন্টেরই টার্মের আগে যেয়ে নতুন পড়ার লোড তৈরি হয়? অন্যান্য সাবজেক্টে তো সেটা সাধারণত সবার হয় না..


এর উত্তর হলো, অন্যান্য সব টপিকে রেগুলার আইটেম হলেও General Anatomy, Embryology আর Histology তে আইটেম হয় না। আবার কোনো কার্ডেও এগুলা রিটেনে থাকে না। ভাইভাতে Hard Part এ Bones ধরলে কখনো কখনো শুধু  General Anatomy থেকে Bones and Joints এর চ্যাপ্টারটা থেকে প্রশ্ন ধরা হতে পারে। কিন্তু বাকিগুলো skip ই করা হয় সাধারণত। এখন বেশিরভাগ স্টুডেন্টের মধ্যে এই প্রবণতা এসে যায় যে, আইটেম না হলে তারা আলাদা করে কোনো সাব্জেক্ট পড়তে বসে না। আবার লেকচার ক্লাসে এই সাব্জেক্ট পড়ানো হয় সত্য, কিন্তু লেকচারে সবাই মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। আবার সব সময় লেকচার ক্লাসও ভালো হয় না। মূলত এই দুইটা কারণে পড়া জমতে থাকে। আর তারপর টার্মের সময় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

অনেকের ক্ষেত্রেই টার্মের সময় Embryology, Histology, General Anatomy যেন পাহাড়সম চাপ তৈরি করে

তাহলে কীভাবে এই Situation থেকে মুক্ত হওয়া যায়?

উত্তর হলো টাইম ম্যানেজমেন্ট।
যেকোনো টার্মের শুরুতেই প্রথমে জেনে নিতে টার্মে এই তিনটা সাব্জেক্ট এর সিলেবাস কতটুকু থাকবে। এরপর প্রত্যেক সপ্তাহের শেষ দিকে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার – যখন একটু ফ্রি টাইম পাওয়া যায় ( অথবা নিজের সুবিধামত সপ্তাহের যেকোনো একদিন বা দুইদিন), সেই সপ্তাহে এই সাব্জেক্ট গুলার লেকচারে যতটুকু টপিক কাভার করা হয়েছে, সেটুকু পড়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।
এক্ষেত্রে দুইটা এপ্রোচে পড়া যেতে পারে-
১. প্রথমে প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত বছরে প্রফে, নিজ কলেজের টার্মে কী কী প্রশ্ন এসেছে দেখে নিয়ে বই এ মুভ করা
২. অথবা প্রথমে বই থেকে পুরো কন্সেপ্ট বুঝে নিয়ে তারপর প্রশ্নব্যাংক দেখা

এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে, যেভাবেই আগাও না কেন, মেইন বই থেকে টপিকগুলো পুরোটা একবার হলেও পড়ার চেষ্টা করো৷ এতে করে তোমার কন্সেপ্ট অনেক বেশি ক্লিয়ার থাকবে ইন শা আল্লাহ । তারপর রিটেনের জন্য তুমি সহায়ক বই, ক্লাস লেকচার স্লাইড ফলো করে  পরীক্ষার উত্তর গুছিয়ে রাখতে পারো।
সহায়ক বই পড়ার সময় অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে, অনেক স্যার ম্যাডাম যেভাবে রিটেনের উত্তর পছন্দ করেন, সেভাবে কিন্তু এসবে লেখা থাকে না। তাই লেকচার স্লাইড টা গুরুত্বপূর্ণ।

এভাবে তুমি যদি রেগুলারলি প্রতি সপ্তাহে পড়া শেষ করে রাখতে পারো, টার্মের আগে আর তোমার কাছে পাহাড়সম সিলেবাস মনে হবে না ইন শা আল্লাহ।

নিয়মিত পড়তে পারলে পরীক্ষার আগে পাহাড়সম চাপ অনেকাংশেই কমায়ে আনা সম্ভব

মোশতাক শাহরিয়ার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (K-78)
সেশন: ২০২০-২১







Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *